ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে হাত-পা কাঁপছিল রণবীরের

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রণবীর কাপুর। প্রেমিক বলে ইন্ডাস্ট্রিতে কম সুনাম নেই তার। এক সময় বলিপাড়ায় কান পাতলেই যার প্রেমের গুঞ্জন শোনা যেত। সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটকে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন রণবীর।

ঐশ্বরিয়া

তবে, আলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার আগপর্যন্ত নিজের প্রেম জীবনের জন্য একাধিক বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। সেই রণবীরই নাকি পর্দায় প্রেম করতে গিয়ে লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিলেন! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে বিষয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা নিজেই।

২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া করণ জোহর পরিচালিত ছবি ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এ অভিনয় করেছিলেন রণবীর কাপুর। ওই ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনও। ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী প্রেমিক যুগলের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রণবীর ও ঐশ্বরিয়া। বেশ কিছু অন্তরঙ্গ দৃশ্যেও দেখা গিয়েছিল তাদের দুজনকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণবীর জানান, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের অভিনয় করতে গিয়ে নাকি হাত-পা কাঁপছিল তার।

অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমি তো লজ্জায় মরে যাচ্ছিলাম, আমার হাত-পা কাঁপছিল। কখনও কখনও তো তার গালে স্পর্শ করতে গিয়েও আমি অস্বস্তিতে পড়েছি।’ তাহলে শেষ পর্যন্ত কোন ওষুধে সেরেছিল রণবীরের এই অসুখ?

রণবীর জানান, তার অস্বস্তি দেখে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন ঐশ্বরিয়া নিজেই। রণবীরকে কিন্তু-কিন্তু করতে দেখলেই ঐশ্বরিয়া বলতেন, ‘হয়েছেটা কী তোমার! আমরা অভিনয় করছি, ঠিক করে নিজের কাজটা কর।’ পাশাপাশি নিজেকেও বোঝাতেন রণবীর। তার কথায়, ‘জীবনে আর এ রকম সুযোগ পাব না, তাই এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে হবে!’

তবে নিজের কথার যাতে ভুল ব্যাখ্যা না হয়, সেদিকে নজর রেখে রণবীর বলেন, “ঐশ্বরিয়া ভীষণ ভালো একজন শিল্পী, বড়মাপের অভিনেত্রী। পরিবার সূত্রেও আমার সঙ্গে তার পরিচয় আছে। ঐশ্বরিয়া গোটা ভারতের অন্যতম প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী। ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে তিনি যেভাবে আমাকে সাহায্য করেছেন, সে জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ।”

২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ওই ছবি যেমন নজর কেড়েছিল দর্শক ও অনুরাগীদের, তেমনই বক্স অফিসেও সাফল্য অর্জন করেছিল। ওই বছরের বাণিজ্যসফল ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’।

About the Author: Boss

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *