অষ্টম শ্রেণী ফেল ছেলেটি মাত্র ২৩ বছর বয়সে কোটিপতি, ছেলেটির ক্লায়েন্টের লিস্টে মুকেশ আম্বানিও রয়েছেন

অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে সবসময় চিন্তিত থাকেন। তাই প্রতিটি অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের সেরা স্কুল এবং কলেজ ভর্তি করাতে চান।অভিভাবকরা প্রায়শই বাচ্চাদের পড়ার কথা বলে থাকেন। তবে কিছু বাচ্চা যারা পড়তে এবং লিখতে একেবারেই এই আগ্রহী হয় না, তখন অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা আরো বেড়ে যায়।

আসলে সবার মনেই একটা বিশ্বাস আছে, জীবনে কিছু করার জন্য লেখা পড়াটা খুবই জরুরি। তবে এই বিশ্বাসটি ভুল প্রমাণ করে দিলেন একটি ২৩ বছরের ছেলে।

ছেলেটির নাম হল ত্রিশানিত। তিনি মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। তবে তাঁর ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার কোনো আগ্রহ ছিল না। পরিবারের সদস্যরা তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকতো। কিন্তু তিনি ২৩ বছর বয়সে এমন সাফল্য অর্জন করলেন, যা তাঁর পরিবারের লোক একদমই কল্পনা করতে পারেননি।

তিনি এখন সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হয়ে উঠেছেন। তিনি ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা না করলেও কম্পিউটার এবং ভিডিও গেমের প্রতি অনুরাগী ছিলেন।

তার বাবা প্রতিদিনই কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করতেন। কিন্তু প্রতিদিন ত্রিশানিত পাসওয়ার্ড হ্যাক করে কম্পিউটারে গেম খেলতে বসে যেতেন। এটা দেখে তাঁর বাবা খুবই মুগ্ধ হয়ে তাঁকে নতুন একটি কম্পিউটার এনে দিয়েছিলেন। যখন তিনি ৮তম শ্রেণীতে ফেল করেন তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা মাকে ডেকে পাঠান। তারপর থেকেই তাঁর বাবা মা দুজনেই ছেলের কম্পিউটারের ক্যারিয়ার গড়ার বিষয়ে ভাবতে শুরু করেন।

বাবা সমর্থন পাওয়ার পর ত্রিশানি স্কুল ছেড়ে কম্পিউটারের খুটিনাটি বিষয় শিখতে শুরু করেন। তিনি মাত্র ১৯ বছর বয়সে কম্পিউটার ফিক্সিং এবং সফটওয়্যার পরিষ্কার করতে শিখেছিলেন। এরপর তিনি ছোট ছোট প্রকল্পের কাজ পেতে শুরু করেন। তিনি প্রথম চেক পেয়েছিলেন ৬০ হাজার টাকা।

এরপর তিনি টাকা বাঁচিয়ে নিজের কোম্পানি খোলার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি এখন টিএসসি সিকিউরিটি সলিউশন কোম্পানির মালিক। এটি একটি সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি। বর্তমানে তাঁর বয়স ২৩ বছর। তাঁর গ্রাহকের লিস্টে রয়েছে, বর্তমানে রিলায়েন্স কোম্পানির মালিক, এসবিআই ব্যাংকের প্রধান ম্যানেজার, পাঞ্জাব পুলিশ এবং অ্যাভন প্রমুখ। বর্তমানে ভারতে তাঁর চারটি অফিস রয়েছে এবং একটি অফিস দুবাইতে রয়েছে।

About the Author: Boss

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *