কনিষ্ঠা আঙুল বলে দেবে ভালোবাসার মানুষ আসলে কেমন?

অনেকে বলেন, চোখ দেখেই নাকি মানুষের চরিত্র বোঝা যায়। তবে অনেক সময় চোখও মিথ্যে কথা বলতে পারে। তাহলে সহজেই কীভাবে বুঝবেন, একজন মানুষ ভালো না খারাপ? তিনি কী চাইছেন? কেমনই বা তার চরিত্র? কোনো মানুষই সব সময় নিজের সবটা খুলে দেখান না সমাজের কাছে। চোখ ছাড়াও কারও চরিত্র সম্পর্কে ধারণা করে নেয়ার আরো উপায় রয়েছে বলে দাবি করে লক্ষণশাস্ত্র।
কারও কনিষ্ঠা যদি অনামিকার প্রথম কড় বা গাঁটের নিচে অবস্থান করে, তাহলে তারা নাকি বেশ আশাবাদী হন। এমন মানুষরা সহজেই নিজের শত্রুকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। পাশাপাশি, অতীতে তাদের সঙ্গে যদি খারাপ কিছু ঘটে থাকে, তবে সে কথা ভুলে যেতেই পছন্দ করেন তারা। পুরোনো তিক্ততা মনে না রেখে নতুন করে সব কিছু শুরু করতে পছন্দ করেন এই সব মানুষ। তারা নাকি সহজেই অন্যদের বিশ্বাস করে ফেলেন। তবে এমন চরিত্রের ফলে অনেক অসৎ ব্যক্তি সহজেই তাদের প্রতারিত করতে পারেন। এমনকি, তাদের ভালো স্বভাবের সুযোগও নিতে পারে কেউ।

কারও কনিষ্ঠা যদি অনামিকার প্রথম করের সমান হয়, তাহলে তারা নাকি একটু গম্ভীর স্বভাবের স্বল্পভাষী মানুষ হন। এই ব্যক্তিরা অন্যের সঙ্গে বেশি কথা বলেন না এবং তাদের মেলামেশা করতে সময় লাগে। যদিও বাইরে থেকে তারা নিজেদের স্বাধীন এবং স্থিরবুদ্ধি সম্পন্ন হিসাবেই দেখান। এমন ব্যক্তিদের কাছে বিশ্বাসঘাতকতা একেবারেই না-পছন্দ। তারা স্পষ্টবাদী হন। তাই অন্যায় দেখলেই স্পষ্ট ভাবে প্রতিবাদ করেন। নিজের পরিবার-প্রিয়জনের জন্য সব কিছু করতে পারেন এরা। কিন্তু স্বল্পভাষী ও গম্ভীর হওয়ার ফলে সকলে এদের অহঙ্কারী মনে করেন।

কারও কনিষ্ঠা যদি অনামিকার প্রথম করের উপরে শেষ হয়, তা হলে নাকি সেই মানুষ খুবই সৎ এবং সংবেদনশীল হন। এঁরা নিজেদের প্রিয়জনকে বেশ প্রাধান্য দেন। তবে বাইরের দুনিয়ার কাছে ঠিক উল্টোটাই দেখান। এই মানুষরা এমনটা দেখিয়ে থাকেন, যেন তারা কোনো সঙ্গী ছাড়াও খুশি থাকতে পারেন। তবে সাধারণত নাকি বাস্তবে এমনটা হয় না। এঁরা যে কোনো কাজ বিশেষ মনোযোগের সঙ্গে করেন। কোনো কাজ হাতে নিলে তারা সেই কাজ শেষ করে তবেই শান্তি পান। খুঁতখুঁতে স্বভাবের হন এমন মানুষরা।

এই সব বিবরণ কিন্তু লক্ষণশাস্ত্রে উল্লিখিত। এ সবের সত্যাসত্য নিরূপণ করা যায় না। ফলে প্রেমে পড়েই যদি কেউ প্রেমিক বা প্রেমিকার আঙুল নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি শুরু করেন, তবে প্রেমাস্পদ চটে গিয়ে তাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে গুডবাই করে দিতেও পারেন।

সূত্র: আনন্দবাজার

About the Author: Boss

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *